পচনের শুরু শিক্ষায় 

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাবিদ, নীতিনির্ধারক এবং সাধারণ জনগণের জন্য উদ্বেগের বিষয়।  সিস্টেমের উন্নতির জন্য সরকারের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, দেশ এখনও বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছে যা এর শিক্ষা ব্যবস্থাকে জর্জরিত করে।  এই সমস্যাগুলির মধ্যে রয়েছে মানসম্পন্ন শিক্ষার অভাব, অপর্যাপ্ত তহবিল, অপর্যাপ্ত পরিকাঠামো এবং উচ্চ ঝরে পড়ার হার।  এখানে আমরা বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে কিছু প্রধান সমস্যা অন্বেষণ করব।

 

প্রথমত, বাংলাদেশের শিক্ষার মান আন্তর্জাতিক মানের সাথে সমান নয়।  বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা প্রায়শই সমালোচিত হয় তার সেকেলে এবং রোট শেখার পদ্ধতির জন্য, যা সৃজনশীলতা, সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা বা সমস্যা সমাধানের দক্ষতার প্রচার করে না।  অধিকন্তু, পাঠ্যক্রমটি প্রায়শই অপ্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ওভারলোড করা হয়, যা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলিতে ফোকাস করা কঠিন করে তোলে।  ফলস্বরূপ, শিক্ষার্থীরা প্রায়ই ক্লাসরুমের বাইরে তাদের জ্ঞান প্রয়োগ করার জন্য সংগ্রাম করে এবং বাস্তব বিশ্বের চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত হয় না।

 

দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশে শিক্ষার জন্য তহবিল অপ্রতুল।  শিক্ষা ব্যয় বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও, দেশটি এখনও শিক্ষায় তার জিডিপির 2% এরও কম ব্যয় করে, যা জাতিসংঘের প্রস্তাবিত পরিমাণের চেয়ে অনেক কম।  এর ফলে পাঠ্যপুস্তক, শ্রেণীকক্ষ এবং শিক্ষক সহ সম্পদের অভাব দেখা দিয়েছে, যা দেশের শিক্ষার মানকে আরও প্রভাবিত করেছে।

 

তৃতীয়ত, বাংলাদেশে শিক্ষার জন্য অবকাঠামো অপর্যাপ্ত।  অনেক স্কুলে মৌলিক সুবিধা যেমন প্রবাহিত পানি, বিদ্যুৎ এবং সঠিক স্যানিটেশন সুবিধার অভাব রয়েছে।  অধিকন্তু, শ্রেণীকক্ষে অতিরিক্ত ভিড় একটি সাধারণ সমস্যা, যা শিক্ষকদের পক্ষে শিক্ষার্থীদের প্রতি ব্যক্তিগত মনোযোগ প্রদান করা কঠিন করে তোলে।  অবকাঠামোর অভাবের ফলে যোগ্য শিক্ষকেরও অভাব দেখা দিয়েছে, যা শিক্ষার মানকে আরও প্রভাবিত করেছে।

 

চতুর্থত, উচ্চ ঝরে পড়ার হার বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার আরেকটি বড় সমস্যা।  দারিদ্র্য, শিশুশ্রম, বাল্যবিবাহ এবং অন্যান্য আর্থ-সামাজিক কারণের কারণে অনেক শিক্ষার্থী স্কুল ছেড়ে দেয়।  অধিকন্তু, শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিবন্ধী বা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের চাহিদা পূরণের জন্য সজ্জিত নয়, যা প্রায়শই মূলধারার শিক্ষা থেকে তাদের বাদ দেয়।

 

উপসংহারে বলা যায়, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন যেগুলোকে জরুরীভাবে মোকাবেলা করা প্রয়োজন।  শিক্ষার মান উন্নয়ন, তহবিল বৃদ্ধি, পরিকাঠামোর উন্নয়ন এবং ঝরে পড়ার হার কমানো সরকারের প্রধান অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।  অধিকন্তু, দেশে যেভাবে শিক্ষা প্রদান করা হয় তাতে একটি দৃষ্টান্ত পরিবর্তনের প্রয়োজন, যা সৃজনশীলতা, সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতার প্রচারের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত।  সঠিক নীতি ও কৌশলের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে জনগণের চাহিদা মেটাতে এবং দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য পরিবর্তন করা যেতে পারে।



22 Responses

  1. নাস্তিক ব্লগারদের কারণে আজ ইসলাম ধম হুমকির মুখে।

  2. নাস্তিক শুওরের বাচ্চাদের কারণে আজ আমাদের শান্তির ধম ইসলাম ধম প্রায় হুমকির মুখ।

  3. এই নাস্তিক ব্লগারদের যেখানে পাবো সেখানেই কুপিয়ে জখম করে ফেলা ভালো।

  4. নাস্তিকদের উচিগ শিক্কা না পেলে তারা দিন দিন পার পেয়ে যাবে।তোদেরকে উচিত শিক্কা দিতে হবে

  5. কোনও নাস্তিক ব্লগাররা ইসলাম ধমকে ধংস্ব করতে পারবে না।

  6. এই নাস্তিক এর বাচ্চা শুনো তদেরকে এই পৃথিবী থেকে চিরতরে বিদায় করে দেব।

  7. আজকে প্রতিটি হামলার সাথে আমি মনে করি এই রকম নাস্তিক ব্লগাররা জডিত।

  8. এই সব হামলার মূল হোতা নাস্তিক ব্লগাররাব্লগাররা।এদেরকে যেখানে পাবো চিরতরে শেষ করে দেওয়া ভালো

  9. এই সব হামলার মূল হোতা নাস্তিক ব্লগাররাব্লগাররা।এদেরকে যেখানে পাবো চিরতরে শেষ করে দেওয়া ভালো

  10. তোকে যেখানো পাবো সেখানেই তোকে কুপিয়ে জখম করবো।বেশি বারাবারি করিস না।

  11. তোদের মতো নাস্তিক ব্লগার এর কারনে আজ দেশে কেউ শান্তিতে নেই।

  12. ইদের নামাজে মসজিদে হামলা এট শুধু জঙ্গি হামলা নয় এটা নাস্তিক ব্লগারদের উসকানীমূলক কাজ।

  13. ব্লগাররা স্বাধীন দেশকে ধ্বসের মুখে ঠেলে দিয়েছে।এদেরকে এই দেশ থেকে বিতাড়িত করতে হবে।

  14. নাস্তিক ব্লগারদের উসকানীমূলক ব্যাক্তব্যে বন্ধ করতে হবে।না হয় এর ফল কিন্তু ভালো হবে না।

  15. If you know that much information , I think you are part of this evil plot , KMC

  16. আজকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জঙ্গিদের তৎপর। আমার কথা হলো হঠাৎ করে জঙ্গিরা এতো তৎপর কেনে।বাংলাদেশে অতীতে বা বতমানে ব্লগার নাস্তিকদের বিভিন্ন ভাবে ধমীয় অনূভুতিতে আঘাত হানার কারনে জঙ্গী তৎপর হয়ে উঠেছে।তাই আমি মনে করি এই সব ব্লগার নাস্তিকদের মুখ সামলিয়ে কথা বলতে হবে।

  17. বাংলাদেশ বিভিন্ন আনাচে কানাচে জঙ্গিদের অবস্থান তারা বিভিন্ন বাসা বাড়ি তাদের জ্ঙ্গি তাদের জঙ্গি আস্তানা তৈরী করে ফেলেছে।এই জঙ্গিদের কারণে ব্লগাররা মূত্য হুমকির মুখে।

  18. এই লেখায় মুসলমানদের বিরুদ্ধে লেখায় আমি নিন্দা প্রকাশ করছি।

  19. আজকে বাংলাদেশে অসহায় হয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের উপর হামলা আমি নিন্দা প্রকাশ করছি। আর এই লেখাটিতে একজন ব্লগার বলেছেন রোহিঙ্গারা নাকি জঙ্গী।ব্লগাররের এই লেখাকে আমি ঘৃণা প্রকাশ করছি।

  20. ব্লগাররা মদ খেয়ে লেখালেখি করে বলে তাদের এই লেখাকে কেউ বিশ্বাস করে না।তাদের এই লেখা যৌক্তিকতা নেই।

  21. একজন ব্লগারের এই লেখাকে কিভাবে বিশ্বাস করব। যেখানে অসহায় রোহিঙ্গারা সেখানে তারা পাকিস্থানকে টেনে ঢুকাচ্ছে।কারন ব্লগাররা পাকিস্থানকে দুচোখে দেখতে পারে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *