ইসলাম নারীকে দিয়েছে বর্বরতা ও অসম্মান

ইসলামে নারীদের যে অবস্থায় দেখা হয়েছে বা করে রাখা হয়েছে সেটা এক কথায় বর্বর, মধ্যযুগীয় এবং অমানবিক। এটি নিয়ে অতীতে বহু কথা হয়েছে, বহু আলোচনা হয়েছে কিন্তু অবস্থা কতটা পাল্টেছে তা সবাই হয়ত জানে।

বলা হয়ে থাকে ইসলাম দিয়েছে নারীকে সর্বোচ্চ সম্মান।কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হলো,একজন নারী কখনো ইমামতি করতে পারেন না,আযান দিতে পারেন না,এমনকি ছেলে বাচ্চা জন্ম নিলে যেখানে আযান দিয়ে সকলকে জানানো হয় সেখানে একটি মেয়ে শিশু জন্ম নিলে আযান দেওয়া হয় না।নিশ্চুপ থেকে মূলত তার জন্মকে ভত্সনা করা হয় মাত্র।মেয়ে শিশু জন্মের সময় আযান নাকি নিসিদ্ধ।

ঘরে বন্দী রেখে,দেখার চোখ থেকে শুরু করে পায়ের নখ পর্যন্ত ঢেকে রেখে কি করে তাদের সম্মানীত করা হয় আমি তা বুঝি না।বুঝতে চাইলে মুমীন বান্দারা নারীকে কলার সাথে তুলনা করে তাদের সর্বোচ্চ সম্মান প্রদানের যুক্তি উপস্থাপনের চেষ্টা করে।এটা যে কোন যুক্তি নয়,একটি কুযুক্তি তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
একজন নারী যদি চারখানা বা এর অধিক পুরুষকে বিয়ে করে তবে কেমন হতো? কেমন লাগতো সেই সব পুরুষদের? তারা নিশ্চয় সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারে অধিকারী হতেন না।সেই ক্ষেত্রে নারীরা হচ্ছে কি করে!!!
শরিয়া আইন মতে ধর্ষণের বিচারের জন্য চারজন চাক্ষুষ পূর্ণবয়স্ক পুরুষ সাক্ষীর প্রয়োজন অন্যদিকে চারজন পুরুষ না থাকলে আটজন চাক্ষুস নারীর সাক্ষীর প্রয়োজন।তারমানে সাত জন নারীর সামনে একজন ধর্ষক অষ্টম নারীকে অবলীলায় ধর্ষণ করে শিষ দিতে দিতে বুক ফুলিয়ে চলে যেতে পারবেন।অন্যদিকে একজন পুরুষ কি সামনে চারজন পুরুষ নিয়ে নারী ধর্ষণ করবে? অবসই না।আর যে সব পুরুষ ধর্ষিতা নারীকে না বাঁচিয়ে ধর্ষিতা হতে দেবে তারা নিশ্চয় দাড়িয়ে থাকবে না।
হেন মন মানসিকতার পুরুষেরা উল্টো সুযোগ নিয়ে সেই নারীকে ধর্ষণ করবে।আর এমন নিষ্ক্রিয় পুরুষের সাক্ষী কি করে গ্রহণযোগ্য হয় যেখানে একটি নারীর জীবনের প্রশ্ন চলে আসে? শরিয়া আইনের কথা এখানেই শেষ নয়।ধর্ষিতা নারী যদি ধর্ষক পুরুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার পর সঠিক পরিমান সাক্ষী উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হন তবে উল্টো তাকে ব্যাভিচারের দায়ে পাথর ছুড়ে মৃত্যুদন্ড প্রদান করা হয়।পাকিস্তানের শরিয়া আইন কিন্তু তাই বলে।
এছাড়াও অন্য সকল ক্ষেত্রে নারীকে পুরুষের অর্থেক ক্ষমতা সম্পন্ন সাক্ষী মনে করা হয় শরিয়া ও ইসলামের দৃষ্টিতে।তবুও কি করে বলি ইসলাম দিয়েছে নারীকে সর্বোচ্চ সম্মান?
আসলে ব্যাপারটি এমন যে,
” ঠাকুর ঘরে কে রে…. আমি কলা খাই না”
“ইসলাম কি দৃষ্টিতে নারীকে দেখে…. সর্বোচ্চ সম্মানের দৃষ্টিতে”
এই সর্বোচ্চ সম্মান যেন নারীদের একমাত্র গলার কাটা, একমাত্র ক্ষত,গদগদে ধর্মীয় ঘা তা বলার অপেক্ষা রাখে না।যাদের কাছে নারী মানে গৃহপালিত অবোলা পশুর মতো তাদের কাছে এই ধরনের সম্মান!!! তো সর্বোচ্চ সম্মানের মতই মনে হবে ও মনে প্রাণে বিশ্বাস যোগ্য হবে।

22 Responses

  1. এই ব্লগার নাস্তিক এর বাচ্চা তোদের এই বিষয় নিয়ে এতো পেটে ব্যাথা কেনোও।তোরা মূত্যকে ভয় করিস না।

  2. ভাই আপনার এই লেখা পড়ে আমার অনেক খারাপ লাগছে।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

  3. ভাই আপনার এই লেখা পড়ে আমার অনেক খারাপ লাগছে।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

  4. এই শোন নাস্তিকরা তোদেরকে কেউ বিশ্বাস করে না।তোদের এই লেখাকে কেউ বিশ্বাস করে না।

  5. এই কুওার বাচ্চা আল্লাহকে নিয়ে বিরুদ্ধে কিছু লিখলে তার পরিণতি কিন্তু ভালো হবে না।

  6. আর যেনও কোথায় পাহাড় ধস এর ঘটনায় কেউ যেনও মারা না যায়।

  7. একজন ব্লগার এর লেখাকে আমার কাছে হাস্যকর মনে হয়।

  8. নাস্তিক এর বাচ্চা তোর এই লেখা আমার কাছে সন্দেহ মনে হচ্ছে

  9. শহিদুল ইসলাম এর ঘটনায় সত্যি অনেক খারাপ লাগছে

  10. শহিদুল ইসলামে ঘটনাটি সত্যি আমার কাছে অনেক খারাপ লাগছে।

  11. আমার মনে হয় সে তার নিজের কুকর্ম কারণে তাকে আজ জেলে যেতে হয়েছে।

  12. hauar pula madarchud,go and fuck yourself , bloody wenker

  13. ভাই আপনার এই কথার সাথে আমি একমত কারণ বাংলাদেশ সরকার নারীদেরকে দিন দিন পুরুষের চাহিদা মেটাতে নারীদেরকে বিদেশ গমন করতে হচ্ছে। যা খুব লজ্জাজনক।

  14. তোকে এ বিষয়ে নাক গলাতে কে বলছে নাস্তিক এর বাচ্চা।

  15. তুই এ বিষয়ে নাক গলাতে আসছিস কেনো তকে।বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে লেখার তর এতো বর সাহস কোথায় থেকে আসে।

  16. কুওার বাচ্চা তুই বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্দে কথা বলছিস কেনো।তুই কে।

  17. এই ব্লগারের বাচ্চা তুই কে তর পরিচয় কি।তোকে আমি খুন করবো।

  18. মালাউনের বাচ্চা মুসলিমদের প্রতি তোর এতো হিংসা কেনো।

  19. নাস্তিক মুক্তমনা ব্লগার দের বাংলাদেশ থেকে এদের বিতাড়িত করা হউক।

  20. বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বিনীত আবেদন নাস্তিক ব্লগারদের এই বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করা হউক।

  21. মুক্তমনা ব্লগাররা হুশিয়ার হয়ে যা।তোকে হত্যা করতে বেশি সময় লাগবে না আমার।

  22. বাংলাদেশে আজ দিন দিন ধর্ষন এর উৎপাত সৃষ্টি হচ্চে।আমি মনে করি এই সব কিছু ব্লগার নাস্তিকদের দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *