আমি একজন উভকামি এটা আমি খুব গর্ব নিয়ে বলি। কিন্তু যখন এই কথাটি আমি আমার আশে পাশের মানুষকে বলি কিংবা তারা কোন না কোনোভাবে জানেন তখন তাদের অবস্থা হয় দেখার মতন। আশ্চর্য ব্যাপার হচ্ছে প্রগতিশীলদের কাছ থেকে যেই উত্তর বা ব্যাখ্যা পাই সেটা দুঃখজনক।
সমকামী/সমপ্রেমী ইস্যুতে নাস্তিক-প্রগতিশীলরা এর স্বপক্ষে যুক্তি দেখাতে গিয়ে অনেকগুলো যুক্তির সাথে পশু-পাখিদের কিছু উদাহরণ টেনে বলে যে, পশুপাখিদের মধ্যেও কিছু সংখ্যক সমপ্রেমী হয়। সৃষ্টিতত্ত্ববাদীদের কথা হলো, এটা মানুষের একটা রোগ… বিকৃত মানসিকতা। কিন্তু পশুপাখিরা নিশ্চয়ই ব্যাপারটা ইচ্ছাকৃত ভাবে, চিন্তা করে সমপ্রেমী হয় না। আর যেহেতু পশুপাখিদের মধ্যেও একটা পার্সেন্টেজে এটা দেখা যায়, তেমনি কিছু পার্সেন্ট মানুষের মধ্যেও জিনগত ভাবেই এটা থাকবে…এটা দোষের বা রোগের বা বিকৃত মানসিকতার নয়; বিজ্ঞান এটাকে এখন আর ‘রোগ’ বলছে না। সর্বোপরি এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার, এবং অন্য কারো জন্য ক্ষতিকর নয়–তাই সমপ্রেম বিষয়টাকে আমাদের মেনে নেয়া উচিত।–মোটামুটি এই হলো সমপ্রেমের পক্ষে যুক্তি।
সমপ্রেমের পক্ষে পশু-পাখিদের টেনে এনে যুক্তি দিতে দিতে নাস্তিক-প্রগতিশীলদের অভ্যাস খারাপ হয়ে গেছে, তারা আরো অনেক ব্যাপারে এই প্রকৃতি এবং পশু-পাখিদের টেনে আনে নিজ নিজ স্বার্থ ও সুবিধার জন্য। যেমন, কেউ যদি বহুগামী হয়, তাহলে সে পশুপাখিদের বহুগামিতার উদাহরণ টেনে এনে নিজের বহুগামিতাকে জাস্টিফাই করে; কেউ যদি পুরুষতান্ত্রিক হয় এবং পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার পক্ষে থাকে, তাহলে পশুপাখিদের পুরুষতান্ত্রিকতার উদাহরণ টেনে আনে; কেউ যদি সাম্যব্যবস্থার বিপক্ষে হয় তো পশুপাখিদের উদাহরণ টেনে বলবে যে বন-জঙ্গলেও সাম্যব্যবস্থা নেই।
বিবর্তন সত্য হলে এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে জিনগত এবং আচরণগত–উভয় ভাবেই প্রাণীজগতের সবার সাথে সবার কমবেশি মিল থাকবে। [বাস্তবে এই মিল থাকাটা বরং বিবর্তনের স্বপক্ষে একটা প্রমাণ।] তার মানে এই নয় যে প্রাণীজগতের আর সবাই যা করবে, মানুষও তাই করবে। প্রকৃতি ও প্রাণীজগতে যা হয়, সবই সবার জন্য ভালো, মঙ্গলজনক, কল্যাণকর নয়। মানুষ তার সুবিধার জন্য অনেক প্রকৃতিবিরুদ্ধ কাজও যেমন করে, তেমনি মানুষেরা এমন অনেক কিছুই করে যা প্রাণীজগতের আর কেউ সেগুলো তেমন একটা করে না।
সমপ্রেম প্রকৃতিবিরুদ্ধ কি না ব্যাপারটা মনে হয় আরেকভাবে দেখা যায়- সমলিঙ্গের মিলন কোনো ফলাফল দেয় না, তারপরও এই জিনের টিকে থাকা ইঙ্গিত করে সেক্স খালি বংশবিস্তারের জন্য না, প্লেজারের জন্যও হতে পারে। বিবর্তন জানার একটা অন্যতম কারণ হচ্ছে সেই প্রাকৃতিক নিয়ম অনুযায়ী সমাজব্যবস্থা না বানানো, এইটা ডকিন্স এর কথা। তবে কোথায় সীমারেখা টানা হবে সেটা নির্ধারিত করা প্রয়োজন।মোট কথা হচ্ছে, মানুষ অন্যান্য প্রাণী থেকে চিন্তাচেতনা এবং টেকনোলজিতে অনেক এগিয়ে আছে। তাই শুধু ব্যক্তিগত স্বার্থ ও সুবিধার জন্যে সব কিছুতেই প্রকৃতি এবং অন্যান্য পশুপাখির উদাহরণ টানাটা এক ধরনের চতুরতা। উদাহরণ টানা যায় যদি সেটা সবার জন্য সমান, ভালো, মঙ্গলজনক, কল্যাণকর হয়, এবং কারো ক্ষতি না হয়। আবার এটাও ঠিক–অন্যের ক্ষতি না করে মানুষ আপাতত বাঁচতে পারছে না–যেমন খাদ্যাভ্যাসের ব্যাপারে। তবে মানুষ দিন দিন চেষ্টা করছে যাতে এই ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে। সভ্যতার চাকা এভাবেই চলছে…
12 Responses
আপনি অনেক ভাল লেখেন। আপনার লেখা ভাল লাগে। লিখে জান ভাই।
দেশে আসলে তোড় নিস্তার নাই। তোরে কাইটা টুকরা করা হবে।
কুত্তার বাচ্চা। তুই ইসলামের শত্রু।
আপনি সঠিক বলেছেন। আমাদের মত মানুষদের কষ্ট বোঝার মত মানসিকতা বাংলাদেশের মানুষদের নেই। এরা আমাদের অন্যায় ভাবে বছরের পর বছর অত্যাচার করে আসছে।
তুই এটা কুলাঙ্গারের বাচ্চা। ইসলামের শত্রু।
ভাই এইসব ইসলামের এসব বিষয়বস্তু শুনলে নিজেরে মুসলিম পরিচয় দিতে লজ্জা লাগে।
ইসলামির নেতারা ব্রেন ওয়াশ করে আর নিরীহ মানুষ মারে। ভাল লিখছেন ভাই। আরও লেখেন।
ইসলামির নেতারা নিজেদের সন্তানদের জিহাদে কোনদিন পাঠায় শুনছেন? তারা অসহায় আর এতিম বাচ্চাদের টার্গেট করে দেশে অরাজকতা তইরি করে। ভাই সবি ক্ষমতার লোভ। ইসলামকে ব্যাবাহার করে ।
ইসলামতন্ত্র নিপাত যাক।
এসব কটু মন্তব্য করা উচিত হয়নি একদম! এর শাস্তি তোকে পেতেই হবে।
চুতমারানির বাচ্চা তুই কি জানিস? সময় থাকতে সাবধান করে দিলাম
এগুলো মিথ্যাচার