“সমকামীতা সম্পর্কে আমাদের সমাজ হাজারো কুসংস্কারে আবদ্ধ। এমনকি যার কিছু বইপত্র পড়ে রাতারাতি প্রগতিশীল বনে গেছেন, তারাও সমকামীদের সম্পর্কে ঘৃণাত্মক মনোভাব পোষন করেন।
সমকামীতা পাশ্চাত্য সভ্যতার আবিষ্কার?
একেবারেই ভুল কথা। মধ্যপ্রাচ্যে সমকামীতার ইতিহাস বেশ পুরনো, প্রাচীন মিশরেও সমকামীতার চিহ্ন পাওয়া যায়। ভারতে সমকামীতার প্রচুর উদাহরন রয়েছে। বাৎসায়নের কামাসুত্রে সমকামীতার প্রচুর উদাহরন রয়েছে। তাই দেখা যাচ্ছে সমকামীতা পাশ্চাত্য সভ্যতার আবিষ্কার নয়, বরঞ্চ বলা যায় ভারত বা মিশর বা মধ্যপ্রাচ্য থেকেই সমকামীতা পাশ্চাত্যে গিয়ে থাকতে পারে। তাই যারা বলে সমকামীতা আমাদের সংস্কৃতি ঐতিহ্যের লঙ্ঘন, তাদের ভারতবর্ষের ইতিহাস পড়ে দেখার অনুরোধ রইলো।
সমকামীতা প্রকৃতি বিরুদ্ধ?
সমকামীতা প্রকৃতি বিরুদ্ধ কোন ঘটনা নয়। প্রাণীকূলে প্রচুর সমকামীতার উদাহরন পাওয়া যায়, প্রানীরা পাশ্চাত্য সভ্যতায় দীক্ষা নিয়ে সমকামীতায় লিপ্ত হচ্ছে বা প্রকৃতি বিরুদ্ধ কাজ করছে এমনটা মনে করাটা মুর্খতা ছাড়া আর কিছুই না। একজন মানুষ সমকামী হতেই পারে, এটা দোষের কোন ব্যাপার না। প্রকৃতিতে সমকামীতার উদাহরন থাকলে মানুষের ভেতরেও থাকবে, এতে অস্বাভাবিকত্বের কিছু নাই।
সমকামীতা মানসিক বিকৃতি?
সমকামীতা মানসিক বিকৃতি হতেই পারে না। একজন স্ট্রেইট কখনই সমকামী হতে পারবে না। মানুষের যৌন রুচিকে সাধারনত কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়, দেখা যায় প্রচুর মানুষের মধ্যেই সমকামীতার কিছু সাধারন প্রবনতা থাকে। যাদের ভেতরে এই সাধারন প্রবনতাগুলো থাকে, তারা বিরুপ পরিবেশে নারী সঙ্গের বাইরে থাকলে(মাদ্রাসা, জেলখানা ইত্যাদি)সমকামী হয়ে উঠতে পারে। তবে একজন স্ট্রেইট মানুষ সমকামী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা একেবারেই নাই।
সমকামীদের অধিকার বিষয়ে কথা বলাটা কি সমকামী হয়ে যেতে বলা?
একটা সাধারন প্রবনতা হচ্ছে সমকামীতা নিয়ে কিছু সাধারন কথা বললেই ধরে নেয়া হয় যাকে বলা হচ্ছে তাকে সমকামী হবার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। মোটেও ব্যাপারটা তা নয়। আপনি স্ট্রেইট, আপনার যৌনরুচি নিয়ে আপনি সুস্থ জীবন যাপন করুন। কিন্তু একজন সমকামীকে স্ট্রেইট হয়ে যাবার কথা আপনি বলতে পারেন না। যৌনরুচি যার যার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। যে যেরকম ভাবে নিজের যৌনতা উপভোগ করতে চাচ্ছে তাকে সেভাবেই উপভোগ করতে দিন। কিন্তু যৌনরুচির পার্থক্যের কারনে আমরা কেন একজন আর একজনের প্রতি বিদ্বেষ পোষন করবো?
সমকামীতা এক ধরনের অসুস্থতা? চিকিৎসা প্রয়োজন?
পাশ্চাত্যে সমকামীতা নিয়ে প্রচুর গবেষণা হয়েছে, সেখানে সমকামীতাকে অসুস্থতা বলে চিহ্নিত করার কোন কারন পাওয়া যায় নাই। সমকামীতার অভ্যাস ত্যাগের জন্য বেশ কিছু থেরাপী দেয়া হয়, তবে তা শুধুমাত্র তাদের জন্যই প্রযোজ্য যারা যারা বিরুপ পরিবেশে সমকামীতে পরিনত হয়েছেন। যারা জন্মগত ভাবেই সমকামী, তাদের জন্য কোন চিকিৎসা প্রযোজ্য নয়। কারন এটা কোন রোগ নয়।
সমকামিদের সামাজিকভাবে বয়কট করা উচিৎ?
তারা রক্তমাংশের মানুষ। সমকামীতা সমকামিরা নিজে নির্ধারন করে না। প্রকৃতি তাদের ভেতরে সমকামিতার বীজ বপন করে। একজন সমকামি পুরুষের নারীর প্রতি প্রাকৃতিকভাবে আকর্ষন নাই, যৌন আকাংখা নাই। এই দোষে নিশ্চয়ই একজন মানুষকে এক ঘরে করে রাখা বা বয়কট করা কোন মতেই মানবিক আচরন হতে পারে না।
কাল আপনার শিশু সন্তান বাম হাতি হয়ে জন্মাতে পারে, সমকামী হয়ে জন্মাতে পারে, হিজরা হয়ে জন্মাতে পারে। তাকে মারধোর করে বা চাপ প্রয়োগ করে আপনি ডান হাতি বানাতে চাইবেন, স্ট্রেইট বানাতে চাইবেন, হিজরা হলে ছুড়ে ফেলে দিতে চাইবেন, আমরা কতকাল আর এই সমস্ত ভ্রান্ত ধারনা নিয়ে বাস করবো? আমরা আমাদের ধর্মীয় এবং সামাজিক নোংরামীর বলি আর কত দেবো?
তাই একজন সমকামীকে সম্মান করুন, তাকে তার যৌনতা উপভোগ করতে দিন, তাকে আর একজন সমকামীকে বেছে নেবার সুযোগ সৃষ্টি করে দিন। মনে রাখতে হবে যে আজকে আপনি তাদের সামাজিক ভাবে চাপ দিয়ে হয়তো আপাত ভাবে স্বাভাবিক করে তুললেন, কিন্তু তার সমকামী মনোভাব তাতে পাল্টাবে না, সে কাল আপনার শিশু সন্তানের দিকে হাত বাড়াতে পারে। আপনি যেই চাপ তাকে দেবেন, সেই চাপ আপনাকেও সহ্য করতে হবে। এবং আপনার কাছে ফিরে আসলে সেটা আরও ভয়াবহ হতে পারে।
আপনার সন্তান সমকামী হলে মারধোর করবেন না, ঘর থেকে বের করে দেবেন না। তাকে বোঝার চেষ্টা করুন। কুপ্রথাগুলোকে এখন ভেঙ্গে ফেলবার সময় এসেছে, আমাদের এখন এগিয়ে যেতে হবে। ঐতিহ্য-সভ্যতা-সংস্কৃতির দোহাই দিয়ে আর কতকাল আমরা নিজেদের ক্ষতি করে যাবো।”
সমকামিতার উপর ধর্মের এই প্রভাব আসলে এক ধুরনের বর্বরতার-ই বহিঃপ্রকাশ। তাই আমি বলব সমাকামিতাকে একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে দেখতে পারাটাই সভ্যতার পরিচায়ক এবং এই ব্যাপারে ধর্মের হস্তক্ষেপ করাটাই বরং নোংরামি।
আমরাও স্বপ্ন দেখি একদিন এই বাংলাদেশে সমকামীরা তাঁদের অধিকার ফিরে পাবেন এবং বাঁচতে পারবেন মানুষের মতন।
25 Responses
লেখস তো শুধু ইসলামের বিরুদ্ধে, অন্য ধর্মের বিরুদ্ধে কি লিকিশ সবই দেখি। তোরে গর্দান এক কোপে ধড় থেকে ফেলে দিতে পারলে ভালো লাগতো
“আত্মঘাতী বোমার বিরুদ্ধে অস্ত্রের জোর খাটবে না, সংবেদন এবং কৌশল লাগবে।” একমত। এদেরকে অন্যভাবে লাইনে আনতে হবে।
শিরোনামটা দেখেই আপনার মনোভাব পরিস্কার বুঝা যায়। হিন্দু,বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান এসব ধর্মের লোকজন ধোয়া তুলশি? ভারতে সামান্য গরু জবাইকে কেন্দ্র করে মানুষ পিটিয়ে খুন, এসিড সন্ত্রাস, আর রোহিঙ্গা নির্যাতন এগুলোও কি মুসলমানদের কাজ?
চোখের বদলা চোখ তুলে ফেলাই যদি রীতি হয় তবে পৃথিবীতে তো সব অন্ধ হয়ে যাবে একদিন।
শুধু ইসলাম ধর্ম নিয়ে লিখতে ভালো লাগে? তাই না? হারামী নাস্তিক কাফেরের বাচ্চা
এইসব লেখা লিখে কি লাভ হবে, কিছুই হয়না
আপনার জ্ঞান বুদ্ধি এত কম তাই এইসব আবোল তাবোল লেখেন
আমি অবাক হয়ে যাই এসব লেখা দেখে। লেখা দেখলেই বুঝতে পারা যায় যে এই লোকের মেধা কত কম। জ্ঞান বুদ্ধি কম হলেই মানুষ এই জাতীয় অথর্ব লেখা লিখতে পারে
এইসব নির্বোধগুলা তো শুধু মরে গিয়ে শেষ হয়ে যায়। এদেরকে যারা এই পথে নিয়ে আসে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা দরকার।
চমৎকার লেখনী ও যুক্তি। কিপ ইট আপ ব্রো
হায়রে ধর্ম ! হায়রে মানুষ ! কে কার জন্য বুঝি না।
হিন্দুরা যে গরু জবাই করলে মানুষ মারে, লন্ডনে যে এসিড মারে, ইহুদিরা যে মুসলমান মারে, বৌদ্ধরা যে মুসলিমদের উপর নির্যাতন করে এইসময় তো তুই কেন কেন করস না। শুধু মুসলমান হইলেই তোদের যত সমস্যা। তোর সব কেনর উত্তর পাবি কোপানি খাইলে।
শালা খানকির পো তোর কি সমস্যা?
শুয়োরের বাচ্চা চড়াইতে চড়াইতে মেরে ফেলবো।
কুত্তার বাচ্চা তোরে সামনে পাইলে ডগি স্টাইলে চুইদা পাছা ফাটাইয়া ফালাইমু, খানকির বাচ্চা।
বেয়াদবির একটা সীমা থাকা উচিত। তোরে শাস্তি দেওয়ার সময় আসছে।
হালার পো তোরে না মানা করসিলাম লেখালেখি করতে? তারপরও? দাড়া তোরে মজা বুঝানোর সময় হয়ে গেসে।।
শালা তোরে আমি যেদিন সামনে পাবো চাপাতি দিয়া কোপাইয়া তোর টুকরা টুকরা করে শেয়াল কুকুরকে খাওয়াবো।
তোর ঠ্যাং ভাইঙ্গা হাতে ধরাই দিমু শালা মাগিবাজ
হালার পো তোরে না মানা করসিলাম লেখালেখি করতে? তারপরও? দাড়া তোরে মজা বুঝানোর সময় হয়ে গেসে।।
সাহস থাকলে দেশে আয়তো দেখি, তারপর দেখি তোর কতবড়ো হ্যাডম?
ধর্ম নিয়ে এই জাতীয় কথা বলা একদম ঠিক না ভাইজান
এই হতচ্ছাড়া কুত্তে কি আওলাদ? কি বলিস এইগুলা?
পাহাড়ি ধসের ঘটনায় আমি শোকাহত।আর যেনও এরকম আর না ঘটে সে দিক দিয়ে খেয়াল করতে হবে।
আমার অনেক খারাপ লাগছে এই ঘটনা শুনে সত্যি আমি মমাহত।