কোরানে মূত্র ত্যাগে সমস্যা ঠিক কোথায়?

কোরান শরীফের উপর মূত্র ত্যাগে আমি অন্তত কোন সমস্যা দেখিনা। কাগজ দিয়ে বানানো কিছু বস্তুর উপর কিছু অক্ষর আর সেটির উপর কেউ মুত্র ত্যাগ করলে ঠিক সমস্যাটা কোথায়? আমি এখন পর্যন্ত এই মূত্র ত্যাগের আপত্তিটা বুঝিনি।
আপনি একটা মার্বেল বা সিরামিকের কমোডে মূত্র ত্যাগ করলে সেটার পবিত্রতা বা অপবিত্রতা নিয়ে প্রশ্ন ওথেনা কিন্তু কাগজের উপর মূত্র ত্যাগ করলে আপনারা প্রশ্ন উঠান। এ কেমন যুক্তি? দয়া করে বলবেন কি?
আল্লাহর নাম দিয়ে বদমাশ মোহাম্মদ যা বলে গেছে বা প্রচার করেছে, সেটার ভিত্তিটা আসলে কি? আল্লাহ-ই বা কে কিংবা মোহহামদই বা কে? সে যেই আল্লাহর কথা বলে তাকে কি সে কখনো হাজির করতে পেরেছে? আল্লাহ যে তার কানে কানে কোরানের বানী দিয়ে গেছে বলে বলা হয়েছে বা সে দাবী করেছে সেই কথার প্রমাণ কি? এই বাটপার ভন্ড লোক হয় একটা সাইকো না হয় একটা বড় বাটপার। এতে করে আমার কোনো সন্দেহ নেই। এই বদমাশ ব্যাক্তিকে বিচারের আওতায় নিয়ে এসে বিচার করবার দরকার ছিলো।

কেউ এই কোরান নামের একটা বাজে পুস্তক চায়, কেউ পাড়াতে চায়, কেউ চা-কফির মগ রেখে দেখাতে চায়- কোনটাতেই আমার কোন সমস্যা হয় না। মূত্রত্যাগেও না। মূত্রত্যাগ যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার, ব্যক্তিগত অভিরুচি। সে কোথায়, কিসের উপরে করবে- সেইটা নিয়া আমার হেডেক নাই … তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতেও যদি মূত্র ত্যাগ করার আলাপ আনে- সেইখানেও আমার কোন হেডেক নাই … এইসব জিনিস আমারে টানে না।

আমি মনে করি, এইসবের কোনটাই নাস্তিকতার সমস্যা না- এইসব হইতেছে রুচি- সংস্কৃতি কিংবা শিক্ষার সমস্যা। ঠিক সমস্যাও বলি না, কেননা এর মধ্য দিয়া আমার রুচি- সংস্কৃতি- শিক্ষার এলিটিজম দাবী করা হইতে পারে। ফলে, বলি যারা এইসব করে- তাদের রুচি- সংস্কৃতির সাথে আমার মেলে না। দুনিয়ার অনেক লোকের সাথেই আমার অনেক কিছুতে মেলে না। এই যে কিছু নাস্তিক অধিকাংশ ধার্মিকদের মত প্রচন্ড পুরুষবাদী- সেক্সিস্ট, সেইটা যুক্তিও দিতে পারে না বলে- সারাদিন শ্যালো ট্রল করে- তাদের সাথেও মেলে না- কিন্তু সেগুলা নিয়াও আমার হেডেক নাই … ওগুলোর দিকে তাকাইও না। যা বলছিলাম- দুনিয়ার বেশিরভাগ লোকের সাথে মেলে না। রুচিতে মেলে না, সংস্কৃতিতে মেলে না, আদর্শবোধে মেলে না, রাজনীতিবোধে মেলে না, দৃষ্টিভঙ্গীতে মেলে না, চিন্তায় মেলে না … কত কিছুতে যে মেলে না- ইয়ত্তা নাই … না মেলাগুলোকেই স্বাভাবিক বলে ধরে নেই …

ফলে, যাদের সাথে রুচিতে বা সংস্কৃতিতে একেবারে মেলে না- তাদের পাড়ায় পা দেই না। আমার রুচির সাথে যার মিলবে না- সেও আমার পাড়ায় পা দিবে না। এটাই স্বাভাবিক। সে হিসেবে- যারা এরকম কোরআনে মূত্র ত্যাগ করতে চায়- তাদের ব্যাপারে আমার হেডেক নাই। কেননা আমি জানি, এটা নাস্তিকতার সমস্যা না- এটা তার রুচিগত অবস্থান। তারা আসলে কোরআনের প্রতি তার রাগ- ঘৃণা প্রকাশ করতে চেয়েছে …কেউ চা-কফির মগ রেখে এটা করে, কেউ কোরআন দিয়ে টয়লেট টিস্যুর কাজ করতে চেয়ে ঘৃণা প্রকাশ করে … আবার কেউ কোরআনের আয়াত ধরে ধরে আলাপ করে করে সমালোচনা-তর্ক-বিতর্কের মাধ্যমেও এটা করে। এই যে কর্মপদ্ধতির ভিন্নতা- সবই তার রুচি, সংস্কৃতি, শিক্ষাদীক্ষার উপরে নির্ভর করে …

মূত্রত্যাগের জন্যে কাউরে মারা যাইবো না! কোন মাইনসের গায়ে আঘাত না হানলে, কোন মাইনসের শারীরিক, সহায় সম্পদের কোন ক্ষতি না করলে- কাউরে বড় ধরণের শাস্তি দেওন যায় না- অনুভূতির আঘাতের জন্যে তো নয়ই … নিজের বইয়ে- কেউ যদি মূত্র বা মল ত্যাগ করে- তাতে অন্য কারো যতই অনুভূতিতে আঘাত লাগুক- তারে কেউ খুন করতে চাইতে পারে না!

11 Responses

  1. তসলিমার সব লেখা আপনি ভালোমতো পড়েছেন বলে তো মনে হয় না। তসলিমা নাসরিনের লেখা আলোচনার চেয়ে সমালোচিতই হয়েছে বেশি।

  2. এ জাতি আসাধারন একজন লেখিকাকে হারালো। এরকম রত্ন ধারন করার ক্ষমতাই হয়ত এদেশের নেই।

  3. আপনিতো দেখি তসলিমা নাসরিনের নামে দুই ঢোক বেশি জল খাচ্ছেন। তা এত যে নমঃ নমঃ করছেন, কি আছে এই মহিলার লেখায় ? যৌনতা ছাড়া তেমন উল্লখযোগ্য কোনো বিষয় নিয়ে তো লিখতে দেখি না তাকে।

  4. তসলিমারে মহামানবী প্রমাণ করার সব মশলাই আসে আপনার লেখায়। এখন শুধু তসলিমার মুর্তি বানাইয়া পূজা করা বাকি। শুরু কইরা দেন ভাই।

  5. তুই সব কিছুতে মুসলমানদের দোষ ধরার তালে থাকস।মানুষরে উস্কানি দিতে ওস্তাদ তোরা। এইজন্যই কোপানি খাস।

  6. ইসলাম রক্ষার জন্য জিহাদ করা জায়েজ। তোর মত নাস্তিক,খ্রিস্টানের বাচ্চা জিহাদের কি বুঝবি?

  7. লন্ডনে থাইকা বাল ফালাও? বালের লেখক হইসো? ওইখানে তো বাসন মাজো, দেশে আইসা কিছু কইরা দেখাও

  8. ভাই আপনি এইসব লেখে কি আনন্দ পান। মানুষকে কষ্ট দেন কেন?

  9. তুই একতা নাস্তিকের বাচ্চা। জারজের বাচ্চা। তোর উপরত আল্লাহর গজব পড়বে। অপেক্ষা কর। দেখবি সব।

  10. হাহাহা, এইসব সারকাজম মোল্লারা বুঝবে বলে তো মনে হয় না।

  11. লন্ডনে বইসা বালের লেখা লিকস? দেশে আয় সাহস থাকলে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *